ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় শেষ মুর্হুতে বিপনী বিতান গুলোতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::   চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৫ অথবা ৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই উৎসবকে ঘিরে ১৫ রমজান থেকে চকরিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত অন্তত ১৬টি বিপনী বিতানে শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমজমাট হয়ে উঠেছে ঈদবাজার। বর্তমানে মার্কেটগুলোতে ক্রেতা-সাধারণের ভিড় বাড়ছে। কেনাকাটা করতে যাতে ক্রেতা সাধারণ গরমে অতিষ্ঠ না হন সেইজন্য প্রতিটি মার্কেটের অলি-গলিতে বসানো হয়েছে বড় আয়তনের একাধিক ফ্যান। ফলে শীতল পরশে অনেকটা স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করছেন ক্রেতাসাধারণ। দিনের বেলায় মার্কেটে সর্বশ্রেণীর ক্রেতার উপস্থিতি থাকলেও রাতে পদচারণা বাড়ছে নারী ক্রেতাদের। বর্তমানে প্রতিটি বিপনী বিতানে চলছে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনার ধুম।

জানা গেছে, ঈদের কেনাকাটা করতে সবশ্রেণীর ও নানা বয়সের নারী-পুরুষ ক্রেতারা বেশি ভিড় করছেন চকরিয়া উপজেলা সদরের অভিজাত বিপনী বিতান আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্স, সিটি সেন্টার, ওয়েস্টার্ন প্লাজা, সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, ওসান সিটি মার্কেট, হকার মার্কেট ও সমবায় মার্কেটে। এসব মার্কেটে বেশি বিক্রি হচ্ছে রকমারি শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, জুতাসহ নানা রকমের পণ্য।

এদিকে মার্কেট গুলোতে ঈদের কেনাকাটা করতে আগত ক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। যাতে চোর, ছিনতাইকারী, ইভটিজার ও পকেটমারসহ উঠতি বয়সের মার্কেটে ঢুকে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করতে না পারে। একইসঙ্গে পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশ ও থানার পুলিশ মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

চকরিয়া থানার (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদের কেনাকাটা নিবিঘœ করতে রমজান মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে থানা পুলিশের তিনটি টিম চকরিয়া পৌরশহরের মার্কেট গুলোতে নজরদারিতে রয়েছে। চকরিয়া সুপার মার্কেটের সামনে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁিড়। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেটের ভেতরে বাইরে পুলিশ সদস্যরা টহলে রয়েছে। সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা।

চকরিয়া শহরের নিউ মার্কেটের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক মোহাম্মদ বাচ্ছু বলেন, ‘ঈদের বাজার যেভাবে জমে ওঠেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বর্তমানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। এ অবস্থায় দোকানের কর্মচারীরা একটু দম ফেলারও সময় পাচ্ছেন না। আমরা এবছরও ভাল ব্যবসা করতে পারবো বলে আশা রাখি।

চকরিয়া শহরের বিপনী বিতাণ গুলোর মধ্যে সুপার মার্কেটস্থ সৌদিয়া ক্লথ স্টোর অভিজাত কাপড়ের দোকান হিসেবে ক্রেতা সাধারণের মাঝে ব্যাপক পরিচিত। এ প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি গত কয়েকবছরে আধুনিক ঘরনার ক্রেতাদের কাছে নতুন করে পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের বস্ত্র বিপনী ‘লিমন ফেব্রিক্স’ নামের অপর একটি অভিজাত কাপড়ের দোকান। লিমন ফ্রেবিক্সে এবারও ঈদ উপলক্ষে বরাবরের মতো ভালোমানের সেরা কালেকশন তুলেছেন।

জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের মালিক তৌহিদুল ইসলাম রিমন বলেন, প্রতিবছর রোজার ঈদের সময় বেশি বিক্রির আশায় থাকেন দোকানিরা। এজন্য আগে থেকেই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন ডিজাইনের রকমারি দেশি-বিদেশি শাড়ি, সালোয়ার কামিজসহ নানা ধরনের পণ্যের সমাহার ঘটানো হয়। নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে লিমন ফেব্রিক্স প্রতিবছরই ক্রেতাসাধারণের কাছে সেরাটা দিতে বদ্ধপরিকর। সেই প্রতিজ্ঞা থেকে আমরা এবারও কাপড়ের সেরা কালেকশন তুলেছি।

তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদবাজারে নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইন্ডিয়ান বিভিন্ন আইটেমের শাড়ি। এরমধ্যে জামদানি, কাতান, চেন্নাই শাড়ির চাহিদা বেশি। একইসঙ্গে হাতের কাজ করা শাড়িও কিনছেন অনেকে। আবার বিভিন্ন নামের সালোয়ার কামিজেরও কদর বেশি রয়েছে এবারের ঈদে।’ তিনি ধারণা করছেন, চাঁদ রাত মিলিয়ে এবছর তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিক্রির টার্গেট এক কোটি টাকা অতিক্রম করবে। ##

পাঠকের মতামত: